
মেহেরপুর আদালত ভবনের বারান্দায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি মামলার আসামির বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আদালতের একাধিক কর্মচারী ও আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের বারান্দার সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্তরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাটি শহরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, মেহেরপুরের আলোচিত আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় আজ মঙ্গলবার মেহেরপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য শুনানি ছিলো। যথারিতী তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর ডিবি পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষী দেন। সাক্ষী দিয়ে তিনি আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় মামলার ২ নম্বর আসামি ছন্দা খাতুনসহ কয়েকজন তাকে বিভিণ্নভাবে গালিগালাজ করেনে। এক পর্যায়ে ছন্দা খাতুন তার পায়ের জুতা খুলে তদন্তকারী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারেন। এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা তড়িঘরি করে আদালত চত্বর থেকে বের হয়ে নিরাপদে চলে যান।
স্বয়ং একজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে চলমান মামলায় জামিনে থাকা আসামিদের মাধ্যমে আদালতের বারান্দাতেই আক্রমণের লক্ষবস্তুতে পরিনত হওয়াতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
হেনস্তার শিকার হওয়া তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ছন্দাসহ আসামিরা বিভিন্নভাবে বেশ কিছুদিন ধরে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। আজও আদালতে সাক্ষী দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাকে উদ্দ্যেশে করে বিভিন্ন গালাগালি করে। আমাদের তাদের কথা কানে না নিয়ে দ্রুত আদালত ত্যাগ করি।’
মেহেরপুর জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুর রাজ্জাক টোটন বলেন, ‘বিষয়টি আমি কোর্ট ইন্সপেক্টরের কাছ থেকে শুনেছি। আদালত চত্বরে আসামিদের এমন উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। এ বিষয়টি নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি সুপারিশ করব। ‘