
মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারি গ্রামের ইজিবাইক চালক জামাল হোসেন হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি বাচ্চু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড (ফাঁসি) দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সংক্ষিপ্ত রায়ে বিচারক বলেন, আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, মামলার ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং উপস্থাপিত আলামতের ভিত্তিতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বাচ্চু মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার নতুন শেখপাড়া এলাকার একটি লিচু বাগান থেকে ইজিবাইকচালক জামাল হোসেনের (৫৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের ছোট ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ শোলমারি গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কঠোর পুলিশি পাহারায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা বলেন, ‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। ন্যায়বিচারের স্বার্থেই এটি করা জরুরি।’
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘আদালতের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। জামালের পরিবারের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হলো। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’