
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে দুই সন্তানের জননী টলি খাতুন (৩৭) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত টলি খাতুন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সবেদ আলীর মেয়ে। প্রায় ত্রিশ বছর আগে তার বিয়ে হয় গাংনীর কাজিপুর সর্দ্দারপাড়ার তাজুল ইসলামের সঙ্গে।
টলির পরিবার অভিযোগ করেছে, স্বামী তাজুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন তাজুল। নিহতের ফুফু মুর্শিদা খাতুন বলেন, “টলির শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। গলায় দাগ, পেটে আঘাতের ক্ষত। ওকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাজুলের ফাঁসি চাই।”
অভিযুক্ত স্বামীর চাচা এনামুল হক অবশ্য ভিন্ন দাবি করেছেন। তার ভাষ্য, “তাজুল তার স্ত্রীকে ভালোবাসত। এমনকি মায়ের নামে থাকা জমিও স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছে। গতকাল শাশুড়িকে ভাত না দেওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। টলি হুমকি দিয়েছিল আত্মহত্যা করার।”
গাংনী থানার ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল করিম বলেন, “মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নিহতের পরিবার।