ঢাকা , সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ :
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেহেরপুরে বিএনপির গণসংযোগ ও পথসভা মেহেরপুরে সূর্য ক্লাবের উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্ঠানঃ গান গাইবেন জেমস মেহেরপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারঃ হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে মেহেরপুরে র‍্যাব কনস্টেবলের বিরুদ্ধে একের পর এক ভয়াবহ অভিযোগ মেহেরপুরে জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন মেহেরপুরে সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু রাজধানীর ওয়ারীতে ২৬ কেজি গাঁজা উদ্ধারঃ আটক ১ আদালত চত্বরে নাটকীয় ভাবে আসামি অপহরণের চেষ্টাঃ ১০ জন গ্রেপ্তার মেহেরপুরে এনসিপি’র দোয়া মাহফিল মেহেরপুরের সাবেক এসপি নাহিদ গ্রেপ্তার
বিজ্ঞপ্তি :
শীঘ্রই শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেহেরপুর নিউজ এর  বস্তুনিষ্ঠ তথ্যে, চারপাশের খবর" নিয়ে শীঘ্রই আসছে মেহেরপুর নিউজ অনুসন্ধানী সংবাদ

মেহেরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন গুরুতর আহত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং বাকি চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন। শনিবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমঝুপি কালিতলায় বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের ছেলে নাফিজকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষ নাফিজের মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে। এ ঘটনার পরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি।
ঘটনায় লিটন গ্রুপের আমিনুল ইসলাম (পিতা—আয়ুব আলী মাষ্টার) ও মোস্তাফিজুর রহমান (পিতা—মঞ্জুরুল হক) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অপরদিকে সাইফুল গ্রুপের চারজন—রনি (২০), দেলোয়ার (৩৬), নাফিজ (১৯) এবং শাওন (২৬) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। তারা সকলে আমঝুপি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বিএনপি নেতা লিটন বলেন, “প্রতিপক্ষ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের অংশ হিসেবেই এ হামলা হয়েছে।” অন্যদিকে সাইফুল চেয়ারম্যানের দাবি, “লিটন গ্রুপ আগে থেকেই উসকানিমূলক আচরণ করে আসছিল। তারাই প্রথমে আমাদের কর্মীদের মারধর করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হলেও তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।”
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংঘর্ষের পর গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে বারবার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন তারা।

অনুগ্রহ করে আপনার মতামত আমাদের পাঠান

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পরও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মেহেরপুরে বিএনপির গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৬

আপলোডের সময় : ০৫:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫
মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন গুরুতর আহত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন এবং বাকি চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন। শনিবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমঝুপি কালিতলায় বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের ছেলে নাফিজকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিপক্ষ নাফিজের মোটরসাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে। এ ঘটনার পরপরই উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি।
ঘটনায় লিটন গ্রুপের আমিনুল ইসলাম (পিতা—আয়ুব আলী মাষ্টার) ও মোস্তাফিজুর রহমান (পিতা—মঞ্জুরুল হক) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অপরদিকে সাইফুল গ্রুপের চারজন—রনি (২০), দেলোয়ার (৩৬), নাফিজ (১৯) এবং শাওন (২৬) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। তারা সকলে আমঝুপি গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। বিএনপি নেতা লিটন বলেন, “প্রতিপক্ষ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের অংশ হিসেবেই এ হামলা হয়েছে।” অন্যদিকে সাইফুল চেয়ারম্যানের দাবি, “লিটন গ্রুপ আগে থেকেই উসকানিমূলক আচরণ করে আসছিল। তারাই প্রথমে আমাদের কর্মীদের মারধর করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হলেও তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।”
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংঘর্ষের পর গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে বারবার ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অনেকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন তারা।